লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম হত্যার প্রতিবাদে খুনিদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে ফুঁসে উঠেছে যুবলীগের প্রতিটি ইউনিটের নেতা-কর্মীরা।.
শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে নোমান-রাকিব হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন- লক্ষ্মীপুর সদর পশ্চিম, লক্ষ্মীপুর পৌর, রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর ও রামগতি উপজেলা যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। .
সদর পশ্চিম যুবলীগের আহ্বায়ক তাফাজ্জল হোসেন চৌধুরী টিটুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল হক মাহবুবের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- যুবলীগ নেতা আব্দুল জব্বার লাভলু, শেখ জামান রিপন, ভিপি হেলাল, মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পি, ওমর ফারুক সাগর, আমির হোসেন আমু, মমিন উল্লাহ সবুজ, মো. তফসির আহম্মেদ, কামরুল সরকার, রেজাউল করিম রিয়াজ, আব্দুর রাজ্জাক রাসেল, তারেক আজিজ জনি প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, নিজাম উদ্দিন রনি, মোবারক হোসেন, মারুফ হোসেন সুজন, রুবেল হাসনাতসহ যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মী বৃন্দ।.
বক্তরা বলেন- যুবলীগের নোমান ও ছাত্রলীগের রাকিব ইমামকে সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ ইতিমধ্যে ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করছে। এখনো অন্য আসামীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। আমরা আশাকরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত আসামিদের ও আইনের আওতায় আনবে।.
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় দূর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব। এসময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা নোমানকে মৃত ঘোষনা করেন। ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান তিনিও।.
ডে-নাইট-নিউজ / আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: